আইপিএল নিলাম ২০১৯-এ বড় চমক, মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, জয়দেব উনাদকাটের দর উঠল ৮.৪ কোটি টাকা, ব্রেথওয়েটকে ৫ কোটি টাকায় নিল কেকেআর, হেটমায়ারকে ৪.২ কোটি টাকায় আরসিবি, ক্রেতা নেই যুবরাজের

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -
জয়পুর: এবারের আইপিএল নিলামের এযাবত সবচেয়ে বড় চমক নিঃসন্দেহে এটি। বেস প্রাইসের ৪০ গুণেরও বেশি দামে এমন একজন ক্রিকেটারকে কিনে নিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব যাঁর নাম বলতে গেলে শোনাই যায়নি আগে। ২০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইসের সেই ক্রিকেটারের নাম বরুণ চক্রবর্তী। দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তাঁকে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় কিনল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। তারা ইংল্যান্ডের অল রাউন্ডার স্যাম কুরানকে কিনল ৭.২ কোটি টাকায়।
বলা হচ্ছে, তামিলনাড়ুর ২৭ বছর বয়সি বরুণ চক্রবর্তী নাকি মিস্ট্রি স্পিনার। ফ্রিল্যান্স আর্কিটেক্টের পেশাকে বিদায় জানিয়ে ক্রিকেটের মাঠে নেমে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর স্পিনের জাদুর জোরেই এবার মাদুরাই প্যান্থার্স প্রথম তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জিতেছে। তাঁর সম্পর্কে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সিইও সতীশ মেনন বলেছেন, বরাবর জানতাম ওর জন্য যাবতীয় সীমারেখা ছাড়াব আমরা।
এদিকে ২০১৯ এর আইপিএল ক্রিকেটারদের নিলামে এখনও পর্যন্ত ক্রেতা পেলেন না যুবরাজ সিংহ। দীর্ঘদিন জাতীয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় নেই তিনি। এবারের নিলামে একসময়ের ২২ গজ দাপিয়ে বেড়ানো অলরাউন্ডারকে কেউই কিনতে চাইছে না। একদিনের ক্রিকেট, টি ২০, আইপিএলে বেশ কয়েক বছর আগে চড়া দর পেতেন তিনি। কেরিয়ারের সেরা সময়ে আইপিএল নিলামে ১৬ কোটি টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার এখানে প্রথম রাউন্ডের নিলামে ৩৭ বছরের যুবরাজকে চাইছে না কোনও দল। ১ কোটি টাকা বেস প্রাইজ ধরে নিলামে এসেছেন তিনি। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইসিরা বিক্রি না হওয়া যে ক্রিকেটারদের ফের হাজির করে, সেই তালিকায় থাকলে পরে নিলামে ক্রেতা পেলেও পেতে পারেন তিনি।
যদিও যুবরাজের এখনও খদ্দের না পাওয়ার মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে মত কোনও কোনও মহলের। তাদের যুক্তি, ২ কোটি টাকা বেস দামে তাঁকে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব কিনলেও ২০১৮-র আইপিএলে কোনও দাগ কাটতে পারেননি তিনি। শেষে নভেম্বরে তাঁকে ছেড়ে দেয় কিংস ইলেভেন।
বাঁ হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট ফের বড় দাঁও মারলেন আইপিএল নিলামে। তাঁকে ৮.৪ কোটি টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস। জয়দেবকে তারা আগে ছেড়ে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে বেশি দর পাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটার।
অন্যদিকে বিপুল দর পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। ৫০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেটমায়ারের। কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেটমায়ারকে ৪.২ কোটি টাকায় কিনল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। তাঁর সতীর্থ ব্রেথওয়েটকে ৫ কোটি টাকায় কিনেছে কেকেআর। ২০১৬-র টি ২০ বিশ্বকাপের তারকাকে নিয়ে জোর দরযুদ্ধ হয় দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন কেকেআর ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের।
ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হনুমা বিহারীকে তাঁর বেস প্রাইসের চারগুণ ২ কোটি টাকায় কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক নিকোলাস পূরণও চড়া দর পেয়েছেন। তিনি টি ২০-র আবিষ্কার, এখনও টেস্ট খেলেননি। তবে ৭৫ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস দিয়ে শুরু করে তিনি দাম পেলেন ৪.২০ কোটি টাকা। তাঁকে কিনল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
এখনও পর্যন্ত ক্রেতা পাননি, এমন হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের দলে রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা, ব্রেনডন ম্যাকালাম ও ক্রিস ওকস।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -
জয়পুর: এবারের আইপিএল নিলামের এযাবত সবচেয়ে বড় চমক নিঃসন্দেহে এটি। বেস প্রাইসের ৪০ গুণেরও বেশি দামে এমন একজন ক্রিকেটারকে কিনে নিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব যাঁর নাম বলতে গেলে শোনাই যায়নি আগে। ২০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইসের সেই ক্রিকেটারের নাম বরুণ চক্রবর্তী। দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তাঁকে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় কিনল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। তারা ইংল্যান্ডের অল রাউন্ডার স্যাম কুরানকে কিনল ৭.২ কোটি টাকায়।
বলা হচ্ছে, তামিলনাড়ুর ২৭ বছর বয়সি বরুণ চক্রবর্তী নাকি মিস্ট্রি স্পিনার। ফ্রিল্যান্স আর্কিটেক্টের পেশাকে বিদায় জানিয়ে ক্রিকেটের মাঠে নেমে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর স্পিনের জাদুর জোরেই এবার মাদুরাই প্যান্থার্স প্রথম তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জিতেছে। তাঁর সম্পর্কে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সিইও সতীশ মেনন বলেছেন, বরাবর জানতাম ওর জন্য যাবতীয় সীমারেখা ছাড়াব আমরা।
এদিকে ২০১৯ এর আইপিএল ক্রিকেটারদের নিলামে এখনও পর্যন্ত ক্রেতা পেলেন না যুবরাজ সিংহ। দীর্ঘদিন জাতীয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় নেই তিনি। এবারের নিলামে একসময়ের ২২ গজ দাপিয়ে বেড়ানো অলরাউন্ডারকে কেউই কিনতে চাইছে না। একদিনের ক্রিকেট, টি ২০, আইপিএলে বেশ কয়েক বছর আগে চড়া দর পেতেন তিনি। কেরিয়ারের সেরা সময়ে আইপিএল নিলামে ১৬ কোটি টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার এখানে প্রথম রাউন্ডের নিলামে ৩৭ বছরের যুবরাজকে চাইছে না কোনও দল। ১ কোটি টাকা বেস প্রাইজ ধরে নিলামে এসেছেন তিনি। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইসিরা বিক্রি না হওয়া যে ক্রিকেটারদের ফের হাজির করে, সেই তালিকায় থাকলে পরে নিলামে ক্রেতা পেলেও পেতে পারেন তিনি।
যদিও যুবরাজের এখনও খদ্দের না পাওয়ার মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে মত কোনও কোনও মহলের। তাদের যুক্তি, ২ কোটি টাকা বেস দামে তাঁকে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব কিনলেও ২০১৮-র আইপিএলে কোনও দাগ কাটতে পারেননি তিনি। শেষে নভেম্বরে তাঁকে ছেড়ে দেয় কিংস ইলেভেন।
বাঁ হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট ফের বড় দাঁও মারলেন আইপিএল নিলামে। তাঁকে ৮.৪ কোটি টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস। জয়দেবকে তারা আগে ছেড়ে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে বেশি দর পাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটার।
অন্যদিকে বিপুল দর পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। ৫০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেটমায়ারের। কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেটমায়ারকে ৪.২ কোটি টাকায় কিনল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। তাঁর সতীর্থ ব্রেথওয়েটকে ৫ কোটি টাকায় কিনেছে কেকেআর। ২০১৬-র টি ২০ বিশ্বকাপের তারকাকে নিয়ে জোর দরযুদ্ধ হয় দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন কেকেআর ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের।
ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হনুমা বিহারীকে তাঁর বেস প্রাইসের চারগুণ ২ কোটি টাকায় কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক নিকোলাস পূরণও চড়া দর পেয়েছেন। তিনি টি ২০-র আবিষ্কার, এখনও টেস্ট খেলেননি। তবে ৭৫ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস দিয়ে শুরু করে তিনি দাম পেলেন ৪.২০ কোটি টাকা। তাঁকে কিনল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
এখনও পর্যন্ত ক্রেতা পাননি, এমন হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের দলে রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা, ব্রেনডন ম্যাকালাম ও ক্রিস ওকস।
বলা হচ্ছে, তামিলনাড়ুর ২৭ বছর বয়সি বরুণ চক্রবর্তী নাকি মিস্ট্রি স্পিনার। ফ্রিল্যান্স আর্কিটেক্টের পেশাকে বিদায় জানিয়ে ক্রিকেটের মাঠে নেমে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর স্পিনের জাদুর জোরেই এবার মাদুরাই প্যান্থার্স প্রথম তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জিতেছে। তাঁর সম্পর্কে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সিইও সতীশ মেনন বলেছেন, বরাবর জানতাম ওর জন্য যাবতীয় সীমারেখা ছাড়াব আমরা।
এদিকে ২০১৯ এর আইপিএল ক্রিকেটারদের নিলামে এখনও পর্যন্ত ক্রেতা পেলেন না যুবরাজ সিংহ। দীর্ঘদিন জাতীয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় নেই তিনি। এবারের নিলামে একসময়ের ২২ গজ দাপিয়ে বেড়ানো অলরাউন্ডারকে কেউই কিনতে চাইছে না। একদিনের ক্রিকেট, টি ২০, আইপিএলে বেশ কয়েক বছর আগে চড়া দর পেতেন তিনি। কেরিয়ারের সেরা সময়ে আইপিএল নিলামে ১৬ কোটি টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার এখানে প্রথম রাউন্ডের নিলামে ৩৭ বছরের যুবরাজকে চাইছে না কোনও দল। ১ কোটি টাকা বেস প্রাইজ ধরে নিলামে এসেছেন তিনি। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইসিরা বিক্রি না হওয়া যে ক্রিকেটারদের ফের হাজির করে, সেই তালিকায় থাকলে পরে নিলামে ক্রেতা পেলেও পেতে পারেন তিনি।
যদিও যুবরাজের এখনও খদ্দের না পাওয়ার মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে মত কোনও কোনও মহলের। তাদের যুক্তি, ২ কোটি টাকা বেস দামে তাঁকে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব কিনলেও ২০১৮-র আইপিএলে কোনও দাগ কাটতে পারেননি তিনি। শেষে নভেম্বরে তাঁকে ছেড়ে দেয় কিংস ইলেভেন।
বাঁ হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট ফের বড় দাঁও মারলেন আইপিএল নিলামে। তাঁকে ৮.৪ কোটি টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস। জয়দেবকে তারা আগে ছেড়ে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে বেশি দর পাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটার।
অন্যদিকে বিপুল দর পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। ৫০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেটমায়ারের। কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেটমায়ারকে ৪.২ কোটি টাকায় কিনল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। তাঁর সতীর্থ ব্রেথওয়েটকে ৫ কোটি টাকায় কিনেছে কেকেআর। ২০১৬-র টি ২০ বিশ্বকাপের তারকাকে নিয়ে জোর দরযুদ্ধ হয় দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন কেকেআর ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের।
ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হনুমা বিহারীকে তাঁর বেস প্রাইসের চারগুণ ২ কোটি টাকায় কিনল দিল্লি ক্যাপিটালস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক নিকোলাস পূরণও চড়া দর পেয়েছেন। তিনি টি ২০-র আবিষ্কার, এখনও টেস্ট খেলেননি। তবে ৭৫ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস দিয়ে শুরু করে তিনি দাম পেলেন ৪.২০ কোটি টাকা। তাঁকে কিনল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
এখনও পর্যন্ত ক্রেতা পাননি, এমন হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের দলে রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা, ব্রেনডন ম্যাকালাম ও ক্রিস ওকস।
চিন্নাস্বামীতে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই কোহালি, কার্তিকদের
কোটলায় হতাশার হারের পরে আজ, রবিবার বেঙ্গালুরু অভিযান। কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলের সবচেয়ে কঠিন পর্বটি শুরু করছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে নাইটদের শিবির।
শুক্রবারের হারের পরে চাপটা এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে কার্তিকদের। তিনটি জয় নিয়ে ছ’পয়েন্ট তাঁদের। লিগ পর্বে তাঁদের সাতটি ম্যাচ বাকি। হিসেব বলছে, প্লে অফ পর্বে যেতে এখন এই সাতটির মধ্যে পাঁচটিতে জিততেই হবে তাঁদের। গত চার বারের আইপিএলে দেখা গিয়েছে ১৬ পয়েন্ট না পেলে প্লে অফ নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তাই কোটলার হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঝাঁপাতে চান নাইটরা।
শুক্রবার লিগ তালিকার সবচেয়ে নীচে থাকা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে ৫৫ রানে হারার পরে কলকাতা নাইট রাইডার্স আপাতত লিগ তালিকার চার নম্বরে। সাতটি ম্যাচের মধ্যে এই নিয়ে চারটি ম্যাচে হারলেন দীনেশ কার্তিকরা। আর তিনটিতে হারলেই তাঁরা প্লে অফের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে যাবেন।
গত দু’বছরই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর দল হিসেবে নক আউট পর্বে পৌঁছেছিল কেকেআর। ২০১৫-য় ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করায় প্লে অফে উঠতে পারেনি তারা। ২০১৪-য় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ছিল দু’নম্বরে। সে বার অবশ্য ১৪ পয়েন্ট নিয়েও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চার নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে উঠেছিল। তবে সে বার ওপরের দিকের দলগুলো কম পয়েন্ট পাওয়ায় ব্যতিক্রম হয়। সাধারণত আট দলের লিগে ১৬-কেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ধরা হয়। তাই এটাই এখন লক্ষ্য সবার।
বিরাট কোহালিদের মাথাতেও অবশ্য একই দুশ্চিন্তা। লিগ তালিকায় কার্তিকদের থেকেও খারাপ অবস্থা আরসিবি-র। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট তাদের। মানে পরের আটটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টি জিততেই হবে। তাই রবিবারের ম্যাচ দুই দলের কাছেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আরও স্পষ্ট করে বললে দুই দলের কাছেই এখন প্রতিটি ম্যাচ মরা-বাঁচার লড়াই। আগের ম্যাচে যে ভাবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয় হাতছাড়া হয়েছে, তাতে বোলারদের ওপর ক্ষুব্ধ অধিনায়ক। ‘ফিনিশার’ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সে দিন ব্যাটে ঝড় তুলে ম্যাচ জিতিয়ে দেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। আরসিবি-র এবি ডিভিলিয়ার্সও সে দিন ব্যাটে ঝড় তুলে দলকে দুশোর উপর রান তুলতে সাহায্য করেন। কিন্তু বোলাররা সেই রান নিয়ে লড়াই করতে পারেননি। ধোনির সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হন তাঁরা।
তবে রবিবারের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কোহালিরা। শনিবার তাঁর দলের নির্ভরযোগ্য স্পিনার যুজবেন্দ্র চহালের কথায় তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত। চহাল এ দিন বলেন, ‘‘এখনও আটটা ম্যাচ বাকি আছে আমাদের। ২০১৫ ও ২০১৬-তেও আমরা লিগ তালিকায় নীচে থেকে উপরে উঠে এসেছিলাম। এ বারও আশা করি সে ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’’
রবিবার মুখোমুখি হওয়ার আগে কোহালিরা শক্তিশালী চেন্নাইয়ের কাছে হারলেও কার্তিকরা আটকাতে পারেননি দুর্বল দিল্লিকে। মুম্বইয়ের দুই তরুণ ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার ও পৃথ্বী শ-র ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই উড়ে যান তাঁরা। সেই হার নিয়ে কার্তিকের মন্তব্য, ‘‘আমরা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবেতেই খুব খারাপ করেছি। খুবই হতাশাজনক ফল এটা। আমরা ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলাম বলে মনেই হচ্ছিল না। এই ম্যাচে যা যা ভুল হয়েছে, সেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।’’
শনিবার বিকেলে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেই জয়ে ফেরার ছক কষা শুরু করে দিলেন কার্তিকরা। চিন্নাস্বামীতে কোহালিদের আটকানো যদিও সোজা নয়। যে দু’টি ম্যাচে জিতেছেন তাঁরা, দু’টিই ঘরের মাঠে। সেই জয়ের ধারা ফিরিয়ে আনতে যে মরিয়া আরসিবি, তা তো জানিয়েই দিলেন চহাল। তাঁকে টেক্কা দিতে রবিবার হাজির থাকবেন তাঁর ভারতীয় দলের সঙ্গী স্পিনার কুলদীপ যাদব। একে অপরের রহস্য ভালই জানেন তাঁরা। তাই এঁদের লড়াইটা জমে উঠতে পারে রবিবার রাতে।
কোটলায় হতাশার হারের পরে আজ, রবিবার বেঙ্গালুরু অভিযান। কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলের সবচেয়ে কঠিন পর্বটি শুরু করছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে নাইটদের শিবির।
শুক্রবারের হারের পরে চাপটা এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে কার্তিকদের। তিনটি জয় নিয়ে ছ’পয়েন্ট তাঁদের। লিগ পর্বে তাঁদের সাতটি ম্যাচ বাকি। হিসেব বলছে, প্লে অফ পর্বে যেতে এখন এই সাতটির মধ্যে পাঁচটিতে জিততেই হবে তাঁদের। গত চার বারের আইপিএলে দেখা গিয়েছে ১৬ পয়েন্ট না পেলে প্লে অফ নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তাই কোটলার হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঝাঁপাতে চান নাইটরা।
শুক্রবার লিগ তালিকার সবচেয়ে নীচে থাকা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে ৫৫ রানে হারার পরে কলকাতা নাইট রাইডার্স আপাতত লিগ তালিকার চার নম্বরে। সাতটি ম্যাচের মধ্যে এই নিয়ে চারটি ম্যাচে হারলেন দীনেশ কার্তিকরা। আর তিনটিতে হারলেই তাঁরা প্লে অফের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে যাবেন।
গত দু’বছরই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর দল হিসেবে নক আউট পর্বে পৌঁছেছিল কেকেআর। ২০১৫-য় ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করায় প্লে অফে উঠতে পারেনি তারা। ২০১৪-য় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ছিল দু’নম্বরে। সে বার অবশ্য ১৪ পয়েন্ট নিয়েও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চার নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে উঠেছিল। তবে সে বার ওপরের দিকের দলগুলো কম পয়েন্ট পাওয়ায় ব্যতিক্রম হয়। সাধারণত আট দলের লিগে ১৬-কেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ধরা হয়। তাই এটাই এখন লক্ষ্য সবার।
বিরাট কোহালিদের মাথাতেও অবশ্য একই দুশ্চিন্তা। লিগ তালিকায় কার্তিকদের থেকেও খারাপ অবস্থা আরসিবি-র। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট তাদের। মানে পরের আটটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টি জিততেই হবে। তাই রবিবারের ম্যাচ দুই দলের কাছেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আরও স্পষ্ট করে বললে দুই দলের কাছেই এখন প্রতিটি ম্যাচ মরা-বাঁচার লড়াই। আগের ম্যাচে যে ভাবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয় হাতছাড়া হয়েছে, তাতে বোলারদের ওপর ক্ষুব্ধ অধিনায়ক। ‘ফিনিশার’ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সে দিন ব্যাটে ঝড় তুলে ম্যাচ জিতিয়ে দেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। আরসিবি-র এবি ডিভিলিয়ার্সও সে দিন ব্যাটে ঝড় তুলে দলকে দুশোর উপর রান তুলতে সাহায্য করেন। কিন্তু বোলাররা সেই রান নিয়ে লড়াই করতে পারেননি। ধোনির সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হন তাঁরা।
তবে রবিবারের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কোহালিরা। শনিবার তাঁর দলের নির্ভরযোগ্য স্পিনার যুজবেন্দ্র চহালের কথায় তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত। চহাল এ দিন বলেন, ‘‘এখনও আটটা ম্যাচ বাকি আছে আমাদের। ২০১৫ ও ২০১৬-তেও আমরা লিগ তালিকায় নীচে থেকে উপরে উঠে এসেছিলাম। এ বারও আশা করি সে ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’’
রবিবার মুখোমুখি হওয়ার আগে কোহালিরা শক্তিশালী চেন্নাইয়ের কাছে হারলেও কার্তিকরা আটকাতে পারেননি দুর্বল দিল্লিকে। মুম্বইয়ের দুই তরুণ ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার ও পৃথ্বী শ-র ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই উড়ে যান তাঁরা। সেই হার নিয়ে কার্তিকের মন্তব্য, ‘‘আমরা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবেতেই খুব খারাপ করেছি। খুবই হতাশাজনক ফল এটা। আমরা ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলাম বলে মনেই হচ্ছিল না। এই ম্যাচে যা যা ভুল হয়েছে, সেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।’’
শনিবার বিকেলে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেই জয়ে ফেরার ছক কষা শুরু করে দিলেন কার্তিকরা। চিন্নাস্বামীতে কোহালিদের আটকানো যদিও সোজা নয়। যে দু’টি ম্যাচে জিতেছেন তাঁরা, দু’টিই ঘরের মাঠে। সেই জয়ের ধারা ফিরিয়ে আনতে যে মরিয়া আরসিবি, তা তো জানিয়েই দিলেন চহাল। তাঁকে টেক্কা দিতে রবিবার হাজির থাকবেন তাঁর ভারতীয় দলের সঙ্গী স্পিনার কুলদীপ যাদব। একে অপরের রহস্য ভালই জানেন তাঁরা। তাই এঁদের লড়াইটা জমে উঠতে পারে রবিবার রাতে।
বিশ্বকাপে শুরুতেই পরীক্ষা কোহালিদের
২০১৯ বিশ্বকাপে বিরাট কোহালিদের অভিযান শুরুই হচ্ছে সব কঠিন ম্যাচ দিয়ে। গত কালই জানা গিয়েছিল, বিশ্বকাপে ভারত প্রথম ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ জুন। সকলের যে মহারণ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে, সেই ভারত-পাক দ্বৈরথ হবে ১৬ জুন ম্যাঞ্চেস্টারে। এ দিন সংবাদমাধ্যমের হাতে পুরো সূচির তালিকাও চলে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শুরুতেই কোহালিদের খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মতো কঠিন সব প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আসর বসছে ইংল্যান্ডে। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপের সূচ মতো এ বারে সব দল খেলবে সব দলের সঙ্গে। মোট দশটি দলের বিশ্বকাপ হবে। গ্রুপ লিগের পরে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনাল।
যদিও আইসিসি এখনও সরকারি ভাবে বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করেনি। তবে যত দূর জানা গিয়েছে, বিরাট কোহালিদের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ সূচি এ রকম:
৫ জুন: বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (সাউদাম্পটন), ৯ জুন: বনাম অস্ট্রেলিয়া (ওভাল), ১৩ জুন: বনাম নিউজিল্যান্ড (নটিংহ্যাম), ১৬ জুন: বনাম পাকিস্তান (ম্যাঞ্চেস্টার), ২২ জুন: বনাম আফগানিস্তান (সাউদাম্পটন), ২৭ জুন: বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (ম্যাঞ্চেস্টার), ৩০ জুন: বনাম ইংল্যান্ড (বার্মিংহাম), ২ জুলাই: বনাম বাংলাদেশ (বার্মিংহাম), ৬ জুলাই: বনাম শ্রীলঙ্কা (লিডস)। সরকারি ঘোষণা হয়নি।

২০১৯ বিশ্বকাপে বিরাট কোহালিদের অভিযান শুরুই হচ্ছে সব কঠিন ম্যাচ দিয়ে। গত কালই জানা গিয়েছিল, বিশ্বকাপে ভারত প্রথম ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ জুন। সকলের যে মহারণ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে, সেই ভারত-পাক দ্বৈরথ হবে ১৬ জুন ম্যাঞ্চেস্টারে। এ দিন সংবাদমাধ্যমের হাতে পুরো সূচির তালিকাও চলে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শুরুতেই কোহালিদের খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মতো কঠিন সব প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আসর বসছে ইংল্যান্ডে। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপের সূচ মতো এ বারে সব দল খেলবে সব দলের সঙ্গে। মোট দশটি দলের বিশ্বকাপ হবে। গ্রুপ লিগের পরে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনাল।
যদিও আইসিসি এখনও সরকারি ভাবে বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করেনি। তবে যত দূর জানা গিয়েছে, বিরাট কোহালিদের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ সূচি এ রকম:
৫ জুন: বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (সাউদাম্পটন), ৯ জুন: বনাম অস্ট্রেলিয়া (ওভাল), ১৩ জুন: বনাম নিউজিল্যান্ড (নটিংহ্যাম), ১৬ জুন: বনাম পাকিস্তান (ম্যাঞ্চেস্টার), ২২ জুন: বনাম আফগানিস্তান (সাউদাম্পটন), ২৭ জুন: বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (ম্যাঞ্চেস্টার), ৩০ জুন: বনাম ইংল্যান্ড (বার্মিংহাম), ২ জুলাই: বনাম বাংলাদেশ (বার্মিংহাম), ৬ জুলাই: বনাম শ্রীলঙ্কা (লিডস)। সরকারি ঘোষণা হয়নি।
সচিনের জন্মদিনে ১১৯ তাড়া করতে নেমে ৮৭-তেই শেষ মুম্বই

বিপরীত: সচিন তেন্ডুলকরের জন্মদিনেই আইপিএলে ব্যাটিং বিপর্যয় রোহিত শর্মাদের। মঙ্গলবার। ছবি:পিটিআই
আমচি মুম্বই। বিজয় মার্চেন্টের মুম্বই। সুনীল গাওস্করের মুম্বই এবং সচিন তেন্ডুলকরের মুম্বই। সেই মুম্বইয়ের এগারোজন ব্যাটসম্যান তুলতে পারলেন না একশো রানও। জন্মদিনে মাঠে বসে বসে এই ভরাডুবি দেখতে হল সচিনকে। টিভির কমেন্ট্রি বক্সে বসে দেখলেন সুনীল গাওস্করও।
তাঁকে জয় উপহার দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই মঙ্গলবার ঘরের মাঠে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেই মঞ্চ তৈরিও করে দিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য, মায়াঙ্ক মার্কণ্ডেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪৫তম জন্মদিনটা ভাল কাটল না ক্রিকেটের ঈশ্বরের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁর সামনেই চরম ব্যর্থ হলেন মুম্বই ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৮৭ রানে অল আউট! সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৩১ রানে হেরে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের ঠাঁই হল আট দলের মধ্যে সাত নম্বরে। ছয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র দু’টি জয় তাদের।
গত ম্যাচেও জয় হাতের মুঠোয় এসেও তা হাতছাড়া করেন যশপ্রীত বুমরা-রা। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে শুরু থেকেই তাই আঁটসাঁট বোলিং করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১১৮ রানের বেশি তুলতে দেননি তাঁরা। কিন্তু এই লক্ষ্যেও দলকে পৌঁছে দিতে পারলেন না রোহিত ও তাঁর ব্যাটসম্যানরা। প্রথমে ব্যাট করে এত কম রান করে ভারতের মাঠে কোনও আইপিএল ম্যাচ জিততে পারেনি কেউ। তবে মুম্বইয়ের অবশ্য এই দশা আগেও হয়েছে। এই ৮৭ রানেই তারা আরও একবার অল আউট হয়েছিল ২০১১-য়। মোহালিতে, কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সেই দিনই মঙ্গলবার ওয়াংখেড়েতে ফিরে এল রোহিতদের ব্যর্থতায়। আর এই ব্যর্থতা নিয়ে মুম্বই অধিনায়ক রোহিত ম্যাচের পরে বলেন, ‘‘এই হারের জন্য আমরাই দায়ী। ১১৮ রান তা়ড়া করে জেতা উচিত ছিল আমাদের। আমরা নিজেদের চরিত্রের দৃঢ়তা দেখাতে পারলাম না। সানরাইজার্স কিন্তু পেরেছে। আজ যথেষ্ট ভাল বোলিং হয়েছিল আমাদের। কিন্তু ব্যাটসম্যানরাই ডুবিয়ে দিল।’’
দলের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ অধিনায়ক বলেন, ‘‘অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু এটা খুঁত ধরার সময় নয়। জানতাম রানটা তোলা সোজা হবে না। এখানে বড় শট মারা খুব কঠিন ছিল। শুরু থেকেই সেই চেষ্টাটা করা উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু পারলাম না। আমরা অনেকেই খারাপ শট মেরেছি। আমি নিজেও ভাল শট নিতে পারিনি।’’
ছ’ওভারের মধ্যে ২১ রানে এভিন লুইস, ঈশান কিসান ও রোহিত শর্মা ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় মুম্বই। শুরুতে এই ধস নামে রোহিতদের ব্যাটিংয়ে। ঘরের মাঠে দলের হার বাঁচাতে সূর্যকুমার যাদব মরিয়া হয়ে উঠলেও সেই স্পিন জুটি রশিদ খান ও শাকিব আল হাসানের মাঝের ওভারগুলিতেই থেমে যায় মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডের গতি। ৬১-৩ থেকে ৭৭-৬ হয়ে যায় তারা। ৮০ রানের মধ্যে আরও দু’উইকেট পড়ে যায় তাদের। এই কঠিন কাজ আর করে উঠতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

সফল: দু’উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা রশিদ খান। ছবি: পিটিআই
মুম্বইয়ের দুই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হার্দিক পাণ্ড্য ও কায়রন পোলার্ডকে ফিরিয়ে যিনি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন, সেই ম্যাচের সেরা রশিদ খান বলেন, ‘‘দু’টো হারের পরে এ ভাবে জয়ে ফিরে আসাটা দারুণ ব্যাপার। কোচেদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি আমরা। ওঁরা আমাকে সবসময় উৎসাহ জুগিয়ে যান। ভাল-খারাপ যাই হোক, নিজেকে চাপমুক্ত রাখার পরামর্শ দেন মুরলী স্যর। মাঠে যত উপভোগ করবে, তত তোমার পারফরম্যান্স ভাল হবে। ওঁর পরামর্শ মেনেই ভাল পারফরম্যান্স করতে পারছি।’’
ওয়াংখেড়ের এই ম্যাচকে শিখর ধওয়ন ও রোহিত শর্মার দ্বৈরথ বলে চিহ্নিত করা হলেও সেই লড়াই এ দিন জমে ওঠেনি। দু’জনেই ব্যর্থ হন। পাঁচ ম্যাচে ৫২ রান করা ঋদ্ধিমান সাহাকে এ দিন তিন নম্বরে নামেন। কিন্তু কোনও রান করতে পারেননি। ধওয়ন ও ঋদ্ধি তিন বলের মধ্যে পরপর ফিরে যান। এই জায়গা থেকে ফিরে আর আসতে পারেনি হায়দরাবাদ। তবে শেষ হাসি তারাই হাসল বোলারদের কৃতিত্বে। দিনটাই ছিল বোলারদের। আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে মাত্র দু’টি ম্যাচে কুড়ি উইকেট পড়েছে। যা ফের হল মঙ্গলবারের ওয়াংখেড়েতে।
‘শুরু থেকেই নাইট বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দিতে হবে, ওয়ার্নের মন্ত্রই হল ইতিবাচক থাকো’
১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:৪৩:১১
রাজস্থান রয়্যালস যে আইপিএলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েই বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তার নেপথ্যে প্রধান কাণ্ডারি সঞ্জু স্যামসন।
আগ্রাসী: ৩ ম্যাচে ১৭৮ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক। ফাইল চিত্র
একাদশ আইপিএল তাঁর পুনর্জন্মের টুর্নামেন্ট বলে মনে করা হচ্ছে। তিন ম্যাচে ১৭৮ রান। অরেঞ্জ ক্যাপও তাঁর দখলে। সর্বোচ্চ? বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৯২ রান। রাজস্থান রয়্যালস যে আইপিএলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েই বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তার নেপথ্যে প্রধান কাণ্ডারি সঞ্জু স্যামসন। আজ, বুধবার জয়পুরে কলকাতা নাইট রাইডার্স বোলারদের পরীক্ষা নেবেন ২৩ বছরের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তার আগে ‘এবেলা খেলা’কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন রয়্যালস শিবিরের নায়ক।
প্রশ্ন: ফের রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন। অনুভূতিটা কীরকম?
সঞ্জু স্যামসন: দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি সৌভাগ্যবান যে, রাজস্থান রয়্যালসে ফিরতে পেরেছি। এই দলের হয়ে আইপিএলে খেলেই আমি পরিচিতি পেয়েছিলাম। বরাবরই এই দলের হয়ে খেলাটা আমার স্বপ্ন। আমি আপ্লুত যে, রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ আমাকে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য মনে করেছেন।
সঞ্জু স্যামসন: দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি সৌভাগ্যবান যে, রাজস্থান রয়্যালসে ফিরতে পেরেছি। এই দলের হয়ে আইপিএলে খেলেই আমি পরিচিতি পেয়েছিলাম। বরাবরই এই দলের হয়ে খেলাটা আমার স্বপ্ন। আমি আপ্লুত যে, রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ আমাকে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য মনে করেছেন।
প্রশ্ন: একাদশ আইপিএলের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে রয়েছেন। এবারের টুর্নামেন্টে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী?
স্যামসন: রাজস্থান রয়্যালস আমার কাছে একটা পরিবারের মতো। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের যেমন লক্ষ্য থাকে সংসারের আয়-উন্নতির, আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকম। নিজে সফল হতে চাই। আর চাই দলের সাফল্যে অবদান রাখতে।
স্যামসন: রাজস্থান রয়্যালস আমার কাছে একটা পরিবারের মতো। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের যেমন লক্ষ্য থাকে সংসারের আয়-উন্নতির, আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকম। নিজে সফল হতে চাই। আর চাই দলের সাফল্যে অবদান রাখতে।
প্রশ্ন: শেন ওয়ার্নকে মেন্টর হিসাবে পেয়েছেন। রাজস্থানকে প্রথম আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করার নেপথ্যে মূল ভূমিকা ছিল ওয়ার্নের। দলে ওঁর প্রভাব কীরকম?
স্যামসন: রাজস্থান রয়্যালসের জন্মলগ্ন থেকে ওয়ার্ন স্যারের প্রচুর অবদান। ওঁর নেতৃত্বেই প্রথম মরসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান। আমি আগে কখনও ওঁর সান্নিধ্যে আসিনি। এবার সেই সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত। সবসময় ইতিবাচক কথাবার্তা বলেন। নেতিবাচক কোনও ভাবনার জায়গাই নেই দলে। সেটা ওয়ার্ন স্যারের জন্যই। যতদিন ওঁর সঙ্গে কাটাচ্ছি, আমার মুগ্ধতা আরও বাড়ছে।ওঁর মন্ত্রই হল ইতিবাচক থাকো। সকলের সেরাটা বার করে আনার সহজাত দক্ষতা রয়েছে ওয়ার্ন স্যারের।
স্যামসন: রাজস্থান রয়্যালসের জন্মলগ্ন থেকে ওয়ার্ন স্যারের প্রচুর অবদান। ওঁর নেতৃত্বেই প্রথম মরসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান। আমি আগে কখনও ওঁর সান্নিধ্যে আসিনি। এবার সেই সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত। সবসময় ইতিবাচক কথাবার্তা বলেন। নেতিবাচক কোনও ভাবনার জায়গাই নেই দলে। সেটা ওয়ার্ন স্যারের জন্যই। যতদিন ওঁর সঙ্গে কাটাচ্ছি, আমার মুগ্ধতা আরও বাড়ছে।ওঁর মন্ত্রই হল ইতিবাচক থাকো। সকলের সেরাটা বার করে আনার সহজাত দক্ষতা রয়েছে ওয়ার্ন স্যারের।

ভরসা: আজও নারাইনদের বিরুদ্ধে রাজস্থানের বাজি সঞ্জু। ফাইল চিত্র
প্রশ্ন: দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান উইকেটকিপার হিসাবে আপনার উত্থান হয়েছিল। তিন বছর আগে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক। তারপর আর আপনাকে ভারতীয় দলে দেখা গেল না কেন?
স্যামসন: সকল ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার। ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম বলে আমি গর্বিত। রাজস্থান রয়্যালস ছাড়া কেরলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটেও পারফর্ম করেছি। যে দলের হয়েই খেলার সুযোগ পাই না কেন, তার সদ্বব্যবহার করতে হবে। কেরিয়ার নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নই। জাতীয় দলে নির্বাচনটা আমার হাতে নেই। আমার এক্তিয়ারে যেটা আছে, সেটা হল পারফর্ম করে যাওয়া। সেটাতেই মনোনিবেশ করছি।
স্যামসন: সকল ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার। ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম বলে আমি গর্বিত। রাজস্থান রয়্যালস ছাড়া কেরলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটেও পারফর্ম করেছি। যে দলের হয়েই খেলার সুযোগ পাই না কেন, তার সদ্বব্যবহার করতে হবে। কেরিয়ার নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নই। জাতীয় দলে নির্বাচনটা আমার হাতে নেই। আমার এক্তিয়ারে যেটা আছে, সেটা হল পারফর্ম করে যাওয়া। সেটাতেই মনোনিবেশ করছি।
প্রশ্ন: ঋষভ পন্থ-ঈশান কিষাণদের উত্থান কি প্রত্যাবর্তনের রাস্তাটা আরও কঠিন করে তুলেছে?
স্যামসন: আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। ক্রিকেট খেলতে আমি ভালবাসি আর সেটাই করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মাঠে নেমে রান করে যেতে পারলে একদিন লক্ষ্যপূরণ হবেই। তাই এখন বাকি কিছু নিয়ে ভাবছি না। আপাতত রাজস্থানের হয়ে পারফর্ম করাটাই প্রধান।
স্যামসন: আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। ক্রিকেট খেলতে আমি ভালবাসি আর সেটাই করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মাঠে নেমে রান করে যেতে পারলে একদিন লক্ষ্যপূরণ হবেই। তাই এখন বাকি কিছু নিয়ে ভাবছি না। আপাতত রাজস্থানের হয়ে পারফর্ম করাটাই প্রধান।
প্রশ্ন: এবারের রাজস্থান রয়্যালস দল নিয়ে কী বলবেন?
স্যামসন: দলের ভারসাম্য খুব ভাল। অজিঙ্ক রাহানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে অধিনায়ক হিসাবে পেয়েছি। বেন স্টোকসের মতো দুনিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার রয়েছে। জশ বাটলার যে কোনও পোজিশনে ভাল ব্যাট করতে পারে। জয়দেব উনাদকাট ও ধবল কুলকার্নিদের আইপিএল পারফরম্যান্স অনবদ্য। দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের চমৎকার সংমিশ্রণ।
স্যামসন: দলের ভারসাম্য খুব ভাল। অজিঙ্ক রাহানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে অধিনায়ক হিসাবে পেয়েছি। বেন স্টোকসের মতো দুনিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার রয়েছে। জশ বাটলার যে কোনও পোজিশনে ভাল ব্যাট করতে পারে। জয়দেব উনাদকাট ও ধবল কুলকার্নিদের আইপিএল পারফরম্যান্স অনবদ্য। দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের চমৎকার সংমিশ্রণ।
প্রশ্ন: বুধবার আপনাদের প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্স। কতটা কঠিন হবে লড়াই?
স্যামসন: কেকেআর দারুণ শক্তিশালী দল। ওদের ব্যাটিং-বোলিং— দুই’ই ভাল। এই ম্যাচের জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
স্যামসন: কেকেআর দারুণ শক্তিশালী দল। ওদের ব্যাটিং-বোলিং— দুই’ই ভাল। এই ম্যাচের জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
প্রশ্ন: কেকেআর বোলিং সামলে রান করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
স্যামসন: কেকেআর বোলিংয়ে খুব বৈচিত্র। ভাল পেসার রয়েছে। স্পিন বিভাগও বেশ ভাল। সুনীল নারাইন-কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনার রয়েছে। তবে জয়পুরে ওদের কাজটাও সহজ হবে না। শুরু থেকে ওদের বোলিংয়ের ছন্দ নষ্ট করে দিতে হবে। তাহলেই ওদের বিরুদ্ধে সফল হওয়া সম্ভব।

স্যামসন: কেকেআর বোলিংয়ে খুব বৈচিত্র। ভাল পেসার রয়েছে। স্পিন বিভাগও বেশ ভাল। সুনীল নারাইন-কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনার রয়েছে। তবে জয়পুরে ওদের কাজটাও সহজ হবে না। শুরু থেকে ওদের বোলিংয়ের ছন্দ নষ্ট করে দিতে হবে। তাহলেই ওদের বিরুদ্ধে সফল হওয়া সম্ভব।
শক্তি বাড়ল নাইটদের। কার্তিককে বদলে দেওয়ার নায়ক এবার নতুন নাইট
১৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১৯:২৩:১৫
২০১৬ আইপিএল-এর আগে থেকেই খারাপ ফর্ম সঙ্গী ছিল কার্তিকের। সময় খারাপ হওয়ায় হতাশা গ্রাস করতে শুরু করে আজকের কেকেআর অধিনায়ককে। কার্তিকের খারাপ ফর্মের প্রভাব পড়ে আইপিএল-এর নিলামেও।

কেকেআর দল। — কেকেআর-এর ওয়েবসাইট
কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক এখন পুরোদস্তুর বদলে গিয়েছেন। নিধাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন বদলে যাওয়া কার্তিক।
নাইট-অধিনায়কের পরিবর্তনের পিছনে বড় ভূমিকা অভিষেক নায়ারের। সেই নায়ার এবার কেকেআর-এ যোগ দিলেন। নাইটদের তরুণ ব্রিগেডের মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন নায়ার।
নাইটরাইডার্স শিবিরে নায়ারের অন্তর্ভূক্তির খবর জানিয়েছেন কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইসোর। কার্তিকও জানিয়েছেন, তাঁর বন্ধুর কেকেআর ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার খবর।
কার্তিককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘গত দু-আড়াই বছরে আমার জীবন বদলে দেওয়ার পিছনে রয়েছেন অভিষেক নায়ার। প্রতিটি ম্যাচের জন্য আমাকে প্রস্তুত করেছে। নায়ার আমার কাছে নদী। আমি নৌকা।’’
২০১৬ আইপিএল-এর আগে থেকেই খারাপ ফর্ম সঙ্গী ছিল কার্তিকের। সময় খারাপ হওয়ায় হতাশা গ্রাস করতে শুরু করে আজকের কেকেআর অধিনায়ককে। কার্তিকের খারাপ ফর্মের প্রভাব পড়ে আইপিএল-এর নিলামেও। সেবারের আইপিএল-এ ন’ কোটি থেকে কার্তিকের দাম নেমে যায় ২ কোটিতে।
এরকম এক মুহূর্তেই বন্ধু নায়ারের সাহায্য চান কার্তিক। পিছিয়ে থাকেননি নায়ার। দ্বীপরাষ্ট্রের মাটিতে যে আগ্রাসী কার্তিককে দেখা যায় তার পিছনে ভূমিকা ছিল নায়ারের।
চেন্নাইয়ের প্রাসাদোপম বাড়িতে থাকতেন কার্তিক। তাঁর জীবনযাত্রা ছিল রাজার মতো। জীবনের আলোই শুধু দেখেছেন তিনি। অন্ধকার এড়িয়ে গিয়েছে তাঁর চোখ। নায়ারের পরামর্শে কার্তিক চেন্নাইয়ের বিলাসবহুল বাড়ি ছে়ড়ে এসে ছোট্ট এক বাড়িতে থাকতে শুরু করে দেন। সেই বাড়ি মোটেও আরামপ্রদ ছিল না। টয়লেটে শাওয়ার ছিল না। ছোট্ট ঘরে অনেক সময়েই কার্তিকের নাভিশ্বাস উঠত। এরকম জীবনযাত্রার সঙ্গে একদমই পরিচিত ছিলেন না কার্তিক। মাঝে মধ্যে অভিষেক নায়ারের উপরে প্রচণ্ড রেগে যেতেন উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান। ওই ছোট ঘরের জীবনযাত্রা কার্তিকের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। ছোট সেই বাড়ি তামিলনাড়ুর উইকেটকিপারের কাছে অত্যাচারের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।
সবার অলক্ষ্যে অভিষেক নায়ার কিন্তু বদলে দিয়েছিলেন কার্তিককে। নিজের কমফোর্ট জোন ছেড়ে কার্তিককে টেনে বের করে আনেন অভিষেক নায়ার। ট্রেনিং শিডিউলেও ব্যাপক রদবদল আনেন অভিষেক। এ সবের মিলিত ফলে বদলে যায় কার্তিকের ঢিলেঢালা চরিত্র। সেই নায়ার এবার নতুন নাইট।
Comments
Post a Comment