পঞ্চায়েত মামলার নিষ্পত্তির দিনক্ষণ জানাল আদালত, রাজ্যের জোরালো যুক্তি
পঞ্চায়েত নিয়ে সওয়াল-জবাব শেষ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। রাজ্য সরকার তাদের সিদ্ধান্তের সমর্থনে যুক্তি দিল আদালতে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কী জানাল আদালতকে? নিজস্ব চিত্র
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার রায় দেবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। বৃহস্পতিবার সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ আরও একদিন বেড়ে গেল।
শেষ মুহূর্তে রাজ্য সরকারও তাদের বক্তব্য আদালতে পেশ করে। সরকারের পক্ষে পঞ্চায়েত দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সৌরভ দাস বলেন, ‘‘ভোট পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ করা কমিশনের কাজ। এর বাইরেও কমিশনকে অনেক ধরনের পরামর্শ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে।’’
অভিযোগ উঠেছিল, রাজ্য সরকার ও শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের চাপেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের সময় বাড়িয়ে দিয়েও পিছিয়ে আসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এই বিষয়ে অন্যান্য খবর
চাপের কথা স্বীকার না করলেও, রাজ্য সরকার যে আইনি বিষয়ের কথাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকেই মনে করিয়ে দিয়েছিল, তা এক প্রকার মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
সৌরভ দাস বলেন, ‘‘৯ এপ্রিল রাতে কমিশন মনোনয়নের তারিখ বাড়ায়। তখন রাজ্য সরকার বলে, ৯ তারিখ বিকেল ৩টের সময় মনোনয়ন পেশ যেখানে শেষ হয়ে গিয়েছে, তখন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারিখ বাড়াতে পারে না কমিশন।’’
পঞ্চায়েত দফতরের সচিব আদালতকে মনে করিয়ে দেন, ভোটে রাজ্য সরকারের ভূমিকা খুব সীমিত। ফলে ভোট দেরিতে হলে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ আটকে থাকবে। কারণ মডেল কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী, নতুন প্রকল্প, পরিকল্পনা কোনও কিছুই ঘোষণা করা যাচ্ছে না। এমনকী, চলতি কাজগুলিও ঢিমেতালে চলছে।
রাজ্যের বক্তব্য, বেশি সমস্যা হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর অনেকটাই প্রভাব পড়েছ। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ফলে বর্ষাকালে ভোট করাটা দু:স্বপ্নের মতো। এছাড়া যাঁরা ভোট করান, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও হচ্ছে না। তাদের প্রশিক্ষণ দিতেও সময় লাগবে বলে দাবি করেন সৌরভ দাস।
কংগ্রেসের তরফে অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, ‘‘নির্বাচন হোক আদালতের তত্ত্বাবধানে।’’
কিন্তু রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস বার বারই বলে এসেছে, একবার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে, তাতে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যাই হোক না কেন, যে পক্ষই হেরে যাক, তারাই ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্টে যাবে। ফলে নির্ধারিত ১ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ার একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Comments
Post a Comment