প্রথমে নিজের বোনের সামনে ধর্ষণ। তার পর বে়ধড়ক মার। তার পর হুমকি, মুখ খুললে ফল ভাল হবে না। যে কাজে তাকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠল তার বাব-মায়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশী এক কিশোর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করল বছর তেরোর এক কিশোরী। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। রবিবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। ওই মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী এক কিশোরকে বুধবার আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মা-বাবাকেও।
কানপুরের দেহাত জেলার ডিআইজি রতনকান্ত পাণ্ডে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন শিভলি শহরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার। পুলিশের কাছে বয়ানে কিশোরীর দাবি, রবিবার তার পাশের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। বছর ষোলোর ওই অভিযুক্ত কিশোরের বোনের সামনেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি ওই মেয়েটির। ধর্ষণের পর ওই কিশোর তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে বলেও জানিয়েছে সে। তাতে যোগ দেয় অভিযুক্তের মা-বাবাও। এমনকী, এ নিয়ে কাউকে কিছু জানালে তার ফল ভাল হবে না বলেও জানান তাঁরা। ঘটনার পর ওই মেয়েটিকে তার বাড়ি যেতে দেয় অভিযুক্তের পরিবার।
বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে গোটা ঘটনা খুলে বলে ওই কিশোরী। তার মা-বাবা জানিয়েছে, ধর্ষণ ও মারধরের জেরে গুরুতর আঘাত লেগেছে তাঁদের মেয়ের। তাকে প্রথমে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কানপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ওই কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: মৃতেরও মর্যাদা আছে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
ডিআইজি রতনকান্ত বলেন, “আজ সকালে অভিযুক্তকে আটক করেছি আমরা। সেই সঙ্গে তার মা-বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে প্রাথমিক ভাবে আইপিসি-তে ধরা হলেও তার বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা রুজু করা হবে।
Comments
Post a Comment