আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সওয়াল-জবাব এখনও চলছে। তার মাঝেই উঠে এল পাঁচ প্রশ্ন।
মুকুলের নাম করে কল্যাণের প্রশ্ন আদালতে। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে বিরোধীদের উদ্দেশ করে আদালতে চারটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন।
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে দাঁড়িয়ে তিনি বিচারপতিকেই প্রশ্ন করেন:
• মুকুল রায়-সহ বিজেপির তরফে যত অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে, সবেতেই বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের ‘পাপেটে’ পরিণত হয়েছে কমিশন। মুকুলদের অভিযোগ কি বিশ্বাস করেন (বিচারপতিকে প্রশ্ন কল্যাণের) আপনি?
• সব জেলার এসপি, আইসিরা শাসকদলের মদতপুষ্ট গুন্ডাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিরোধীদলের প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দিয়েছে। এটা কি আদালত বিশ্বাস করে?
• সমস্ত আইপিএস-রা ‘পাপেটে’ পরিণত হয়েছে, এটা কি আদালত বিশ্বাস করে?
• তাহলে মুকুলরা পুলিশে অভিযোগ জানালেন না কেন? এমনকী, সুপ্রিম কোর্ট ৯ এপ্রিল নির্দেশ দেওয়ার পরেও মুকুলরা কোনও থানায় কি অভিযোগ জানিয়েছেন? তাদের অভিযোগগুলি কি কোথাও জানিয়েছেন?
• শুধু নিউজ পেপার রিপোর্টকে হাতিয়ার করে অভিযোগ জানালেই কি হবে? বিজেপি স্পষ্ট করে বলুক কোথায় কখন তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি?
সবটাই বিজেপির মিথ্যাচার বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ। তিনি তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করার চেষ্টা করেন, এবারের নির্বাচনকে ঘিরে তেমন কোনও হিংসাই হয়নি।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করার সময় বলেন, ২০০৩ সালে অভিযোগ হয়েছিল ১৩৭টি। ২০০৮ সালে ৮২টি। এই দুটোই বাম আমলে হয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে তৃণমূল আমলে অভিযোগ হয়েছে মাত্র ৭৭টি।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে একইসঙ্গে একই ইস্যুতে মামলা করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তাদের হাইকোর্টে যেতে বলেছে। সুপ্রিম কোর্ট তো বিজেপির কোনও আবেদন গ্রহণ করেনি। এর পরে বিচারপতিকেই তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন করেন, বিজেপির আবেদনের মধ্যে স্বচ্ছতা কি রয়েছে?
কল্যাণের সওয়াল শুনে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার তাঁর উদ্দেশে বলেন, ‘‘ আপনার মতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সবথেকে বড় বিচারক তবে কে?’’
পঞ্চায়েত মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে এখনও শুনানি চলছে। এর পরে বিরোধী পক্ষ থেকে তৃণমূলের সওয়ালের জবাব দেওয়া হবে।
Comments
Post a Comment